শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

আজ বৃহস্পতিবার মহা সপ্তমী

আজ বৃহস্পতিবার মহা সপ্তমী

Reading Time: < 1 minute

আঃ হামিদ মধুপুর টাঙ্গাইল :
বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আজ ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মহা সপ্তমী পূজা। শুভশক্তির উন্মেষের মাধ্যমে শক্তির বিনাশের মধ্য দিয়ে বিশ্বের শান্তি রক্ষায় প্রতিবছর মা দুর্গা পৃথিবীতে আসেন। শিউলি ফুলের সুগন্ধ কাশফুলের সুন্দর শোভাতেই আমরা বুঝতে পারছি মা আসছেন। দুর্গা মা ভক্তদের দুঃখ যন্ত্রনার অবসান করতে বছরে একবার আসেন । সারা বছর সুখে শান্তিতে তার ভক্তরা দিন কাটাতে পারেন সেই আশীর্বাদে মা দুর্গা করেন বলে বিশ্বাস করেন সনাতন ধর্মের মানুষ। মহা সপ্তমীর সকালে সর্বপ্রথম কলাবউকে স্নান করানো হয় । সপ্তমীর সকালে নদী বা জলাশয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নবপত্রিকাকে । শাস্ত্রবিধি মেনে স্নান করিয়ে নতুন শাড়ি পরানো হয় নরপত্রিকাকে। নয়টি উদ্ভিদ দিয়ে নবপত্রিকা গঠন করা হয়। নয়টি উদ্ভিদ মা দুর্গার নয়টি শক্তির প্রতীক। নয়টি হলো কলাগাছ,কচু,জয়ন্তী, হলুদ, বেল, ডালিম, অশোক, মান,ও ধান। নবপত্রিকাকে স্নান করিয়ে আনা হয় পুজামন্ডপে। নবপত্রিকা প্রবেশের পর ই দর্পনে দেবীকে মহাস্নান করানো হয়। পরে মন্ত্রোচ্চারনের মাধ্যমে চক্ষুদানের মধ্য দিয়ে দুর্গার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৬ টি উপাচার ধূপ -ধুনো, বেল- তুলসী, আসন,বস্ত,নৈবেদ্য, পুষ্পমাল্য, চন্দন সহ দেবী দুর্গাকে পুজা করা হয়। শরৎকালে স্বর্গের দেবতাগন ঘুমিয়ে থাকেন। দেবীকে ঘুম থেকে তোলার জন্য আহ্বান করতে হয়। দেবী এ সময় কুমারী রূপে বেলগাছের পাতায় অবস্থান করেন। ষষ্ঠীর দিন বেল গাছের তলায় দেবীর বোধন ও অধিবাস সম্পূর্ণ হয়। বেল গাছের একটি ডালকে চিহ্নিত করে রাখা হয়। বেল গাছের চিহ্নিত ডাল কেটে মন্ডপে পূজাার স্হানে নিয়ে আসতে হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীর শিশু, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ সকল শ্রেনির মানুষ নতুন জামা কাপড় পড়ে প্রতিমা দেখতে দল বেধে ঘুরে বেড়ায় মন্দির থেকে মন্দিরে। অশুভ শক্তির বিনাশের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের শুভ শক্তির উন্মেষ হোক।
স্বাস্ত্র অনুযায়ী বিভিন্ন গাছে প্রতিষ্ঠান করেন দেবী মহামায়ার বিভিন্ন রূপ। কারণ দেবী যে শাকম্ভরী। তিনি মানেই শস্যশ্যামলা। তাই মহাসপ্তমীতে শস্য ও ধন লাভের আশায় ভক্তিভরে পুস্পাঞ্জলীর মাধ্যমে সকল সনাতন ধর্মাবলম্বী পূজা করে থাকেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com